হত্যা মামলায় আনসার সদস্যের মৃত্যুদন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক:
খাগড়াছড়িতে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় পলাতক এক আনসার সদস্যকে দোষী সাব্যস্থ করে মৃত্যুদন্ড ও অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে আদালত। আজ দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রেজা মোঃ আলমগীর হাসান এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিধান কানুনগো জানান গত ০৩/০৭/২০১৫ইং তারিখে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দীঘিনালা থানাধীন কবাখালী হেডম্যান পাড়াস্থ চৌধুরী হিল আনসার পোষ্টের ব্যারাকের বারান্দায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনসার সদস্য রফিকুল ইসলাম গুলি করি আরেক আনসার সদস্য আমির হোসেনকে। আসামী রফিকুল ইসলাম তার নিজ নামে ইস্যুকৃত রাইফেল থেকে গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন আক্তার হোসেন। আসামী রফিকুল ইসলাম তথায় অবস্থানরত অন্যান্য আনসার সদস্যদের দিকেও গুলি ছুঁড়ে আতংক সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র ও গুলিসহ জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের ছেলে ফরিদ মিয়া বাদী হয়ে মামলা করলে দুদিন পরে আসামীকে জঙ্গল হতে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী। আসামী প্রায় দেড় বছর জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি লাভ করে। জামিনে বেরিয়ে গিয়ে সে পলাতক হয়ে যায়।
মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই সিপন চন্দ্র মজুমদার বিগত ১৭/০৯/১৫ সালে চার্জশীট দাখিল করলে রাষ্ট্রপক্ষের মোট সাক্ষী ১২ জন বিজ্ঞ আদালত উপস্থাপন করে। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা: মঙ্গল মিয়া, সাং: লোগাং বাজার, থানা: পানছড়ি; বর্তমান সাং: বলিটিলা, থানা: মাটিরাঙ্গা, জেলা: খাগড়াছড়ি’র বিরুদ্ধে ভিকটিম আমির হোসেনকে গুলি করে হত্যার দায়ে আনীত দন্ডবিধি ৩০২ ধারার গঠিত অভিযোগটি রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় তাকে উক্ত ধারায় বর্ণিত অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ড ও ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
আদালত তার আদেশে আরো উল্লেখ করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম’কে ফাঁসির রুজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম আপীল করতে মন:স্থির করলে আজ রায়ের তারিখ হতে পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে আপীল দায়ের করতে পারবে।