তাইন্দং ইউপি মেম্বারের দোকান হতে ১৫৮ বস্তা চাল উদ্ধার: পৃথক চাল চুরির অভিযোগে যুবলীগ নেতা বহিষ্কার: মাটিরাঙা পৌর কমিশনার মোস্তফার বিরূদ্ধে তদন্ত শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর ১০টাকা মুল্যের আরো ১৫৮ বস্তা চাল উদ্ধার হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রবিবার রাত ৯.৩০ ঘটিকার সময় এসব চাল জেলার মাটিরাঙা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড (আচালং) মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি জামাল হোসেনের দোকান হতে উদ্ধার করা হয়। মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীশণ কান্তি দাশ এখবর নিশ্চিত করেছেন।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীশণ কান্তি দাশ বলেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৫৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হলেও মেম্বার জামাল হোসেন এবং তার সহযোগী আবদুল কাদের পলাতক হবে। এই ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ২৮ বস্তা চাল চুরির অভিযোগে জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমেন যুবলীগ হতে বহিস্কার করা হয়েছে।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের নিকট পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন এই বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাটিরাঙা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামছুদ্দিন ভুইয়া বলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার গোমতী ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমেন সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮ বস্তা চাল গোপনে গোমতির বলিচন্দ্র কার্বারি পাড়ার চাল ব্যবসায়ী মো. আবুল হাসেমের নিকট বিক্রি করে দেন। খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আকতার ববির নেতৃত্বে আজ সকাল ১১টার দিকে পুলিশ চালগুলো উদ্ধার করেন । এ সময় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেনার অভিযোগে মো. আবুল হাসেমকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় ডিলার মো. আব্দুল মোমিন পলাতক আছে। তাদের বিরূদ্ধে মাটিরাঙা থানায় মামলা হয়েছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ আরো বলেন, এছাড়া সরকারী চাল কালোবাজারে বিক্রির আরো একটি অভিযোগ মাটিরাঙা পৌরসভার কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তফার বিরূদ্ধে উঠেছে। তা তদন্ত করে দেখার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজকুমার শীলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাল বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।